পোস্টগুলি

জুন, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হঠাত একদিন : লেপাক্ষী ২

ছবি
দ্বিতীয় পর্ব: পুরাকাল| সাল তারিখ সময় ঘেঁটে গেছে| রয়ে গেছে "ওয়ান্স আপন এ টাইম" দিয়ে শুরু হওয়া মুখে মুখে ফেরা মানুষের গল্প, যাদের আমরা বলি, কিংবদন্তি| কিংবদন্তি - এই শব্দটা আমার ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো লাগে| এই শব্দটার মধ্যেই কেমন যেন হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের ভালবাসার খারাপবাসার কাহিনীগুলো মিলেমিশে যায়| লেপাক্ষী মন্দির নিয়েও এরকম অনেক কিংবদন্তি রয়েছে| স্কন্দপুরাণ, অগস্ত্য সংহিতা এবং শিবপুরাণে এই জায়গার উল্লেখ আছে| অর্থাত এই জায়গাটা নিয়ে গল্পকথা অনেকদিনের| এখুনি হয় তো কেউ বলে উঠবেন, "পুরাণে আছে যখন, তা আবার গপ্পকথা হলো নাকি? সেডা তো নির্ভেজাল সইত্য"| হে জনমেজয়, কান খুলে শুনে নাও, পুরাণ হলো আসমুদ্রহিমাচল ভারতবর্ষের শত-সহস্র জনগোষ্ঠির সঞ্চয় করে রাখা লক্ষ লক্ষ কিংবদন্তির সংকলন| পুরাণ শব্দের মানে হলো প্রাচীন| পুরাকালের ঘটনা| আমরা কথায় কথায় বেদ-পুরাণ পেড়ে আনি| যুক্তিতে না কুলালেই তেড়ে দুটো গালাগাল দিয়ে বলি "এসব ব্যাদে আর পুরাণে আছে"| যেহেতু দুই পক্ষের কেউই কোনদিন বেদ বা পুরাণ চোখে দেখেনি, তর্কটা এখানেই থেমে যায়| বেদে কিংবা পুরাণে আছে যখন! বেদ আর পুরাণ কিন্তু ট...

হঠাত একদিন: লেপাক্ষী - ১

ছবি
১৯১০ সাল| হ্যামিল্টন সাহেব ঘোড়ায় চড়ে চলেছেন| লন্ডনের নাম করা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তিনি| পুরোনো সব গথিক আর রোমান স্থাপত্য এবং তাদের স্ট্রাকচার নিয়ে তাঁর অগাধ জ্ঞান| এখন ইন্ডিয়াতে এসেছেন এদেশের পুরনো মন্দির-টন্দির নিয়ে কাজ করতে| আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে| এদেশে এসে দেখলেন, নেটিভরা বহু কোটি মন্দির বানিয়ে রেখেছে সারা দেশ জুড়ে| সেসব জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ করে যেতে হচ্ছে| রেনেসাঁরও অনেক আগে এদেশে লোকজন বিশাল বিশাল অট্টালিকা আর মন্দির তৈরী করে গেছে| মাঝে মাঝে অবাক-ও লাগে তাঁর| তা কিছুদিন হলো, দিব্য দক্ষিন ভারতের ব্যাঙ্গালোর নামের ছোট্ট হিল-স্টেশনে সামারটা কাটাচ্ছিলেন, বাদ সাধলেন এএসএই-এর ডিরেক্টর| তাই তাঁকে ছুটতে হচ্ছে দেড়শ কিলোমিটার দুরে কোন এক ধ্যাড়ধেড়ে অনন্তপুরম গ্রামে| সেখানে নাকি একটা মন্দির ভেঙে পড়বে পড়বে করছে| এত্তো মন্দির, একটা ভাঙ্গলেই বা কি? যাই হোক, অর্ডার ইজ অর্ডার| সোলার হ্যাট চাপিয়ে চললেন সাহেব| মন্দির সারাতে| অনেক দুরের পথ| সঙ্গে তাঁর আসিস্টান্ট আর সাঙ্গপাঙ্গরাও চলেছে| ২০১৭ সাল| ছোটবেলায় ভাবতাম রাজা-উজির হব| আইটি কোম্পানিতে চাকরি করে জীবনটা এখন...

আমার নিশীথ রাতের বাদলধারা

ছবি
মধ্যরাতে বৃষ্টি নামার আগে চলকে পড়ে মনখারাপের গান শরীর ছুঁয়ে ক্লান্ত ব্যথা-দাগে জানলা দিয়ে উড়ছে অভিমান ঝড়ের হাওয়া হিমশৈল হয়ে জাহাজপথে তারার আলোর খোঁজ সমুদ্রকে রাত যেখানে ছোঁয় তোমায় আমি খুঁজতে আসি রোজ নিদ্রাবিহীন গভীর পরবাসে যখন আমার রাত্রি তটভূমি বৃষ্টিজলে কাগজ-খেয়া ভাসে   মাঝ-দরিয়ায় হারিয়ে গেছ তুমি হৃদয়ে ক্ষত অশ্বক্ষুরাকৃতি বুকের ভেতর বৃষ্টি পড়ছে খুব আসলে সব বৃষ্টিভেজা স্মৃতি তোমার সঙ্গে গভীর ঘুমে চুপ