পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এক গাঁয়ে

আমরা দুজন এক শহরে থাকি সেই আমাদের একটুখানি সুখ তাহার কাছে শহর ছিল ফাঁকি  আমার শহর অনেকগুলো মুখ  আমরা দুজন একটি ঘরে বাস আরো কিছু দুঃখ ছিল বুকে  বেঁচে থাকার ক্লান্তি বারোমাস  সুখের চাবি হারানো সিন্দুকে  আমরা দুজন এক হেঁসেলে খাই   সকাল হয় পুরনো ব্যস্ততায়  হঠাত করে ভিড় কুড়োতে যাই  পেটের দায়ে আদিম কলকাতায়  আমরা দুজন এক ভাড়াতে বাঁচি   সেই আমাদের দুমুঠো সঞ্চয়  পকেট জুড়ে ক্লান্ত খোলামকুচি  রাতবিরেতে অন্ধকারের ভয়  আমরা দুজন পাশাপাশি বসি  সন্ধ্যেবেলায় দখিনমুখো আকাশ  চায়ের কাপে চুমুক দিতে আসি  রোজনামচার টুকরো অবকাশ  আমরা দুজন এক ঠিকানার লোক  গৃহস্থালী সাজিয়ে রাখি তাই   তাহার যখন সিরিয়ালে চোখ  আমার হাতে সিগারেটের ছাই  আমরা দুজন ঘেন্না নিয়ে লড়ি   কে বা কাহার রাগের হিসেব রাখে   কাঁপতে থাকে বরগা এবং কড়ি  শব্দগুলো নগ্ন হতে থাকে  আমরা দুজন চিলচিত্কার করি...

দ্রোহজ

ছবি
তখন আমার জীর্ণ ঘর-বাড়ি কুড়িয়ে আনছি ধূসর কিছু ইঁট জাহাজ ছাড়বে দোদুল্যমান ভোরে নকশালবাড়ি থেকে ওয়ালস্ট্রীট তখন আমার সাত-সতেরো কাজ ঘামে ভেজা শার্টের কলারখানি তর্ক হতো স্লোগানে সোচ্চার শহর জুড়ে ব্যস্ত কানাকানি তখন ছিল ঢাকুরিয়ার লেক ফুটপাথে তার উপচে পড়া জল বৃষ্টি নামে প্রেমিকাদের বাড়ি কান্না ছিল বুকে অনর্গল তখন আমার বসন্ত উত্সব মহীন থেকে পিট্ সীগারের গান মা বাজাতেন তুলসিতলায় শাঁখ আজানে মেশে ব্যর্থ অভিমান তখন ছিল রক্তে কালবেলা কাঁটাপুকুর মর্গে ভীষণ শীত মনের মধ্যে অশান্ত কল্লোল বুকের ভেতর রবীন্দ্রসঙ্গীত তখন ছিল ধোঁয়া ছাড়ার দিন বাসের ভীড়ে ট্রাফিক সিগনাল তখন ছিল অলিপাবে ভীড় নিষিদ্ধ পথ শহরে জঞ্জাল এসব কথা এখনো ভিড় করে আমার এখন বাতানুকুল ঘর এসব কথা এখনো চোখের জল আমার এখন জীবন তেপান্তর