পোস্টগুলি

2014 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হারানো সুর

ছবি
কতো গল্পেরা স্মৃতি হয়ে গেছে ছবিতে লেগেছে ধুলো চলতে চলতে পেরিয়ে যাচ্ছি ছুটির ঘন্টাগুলো কত দূর আমি পেরিয়ে এসেছি সেই দিনগুলো ফেলে পিঠে ব্যাগ নিয়ে ইস্কুলে যেতো হাফ-প্যান্ট পরা ছেলে ছিলো না যখন কিছুই আমার তখনি ছিল যে সব মিথ্যে পাওয়ার আড়ালে এখন না-পাওয়ার উত্সব

এলোমেলো-১

ছবি
মনের থেকে স্বপ্নেরা উড়ে গেল জানালার শিকে  ভুল করে কিছু চিঠি চাপা ছিল টেক্সট বুকে ; স্নান করে জল ফেলে পরীদল, কেউ বেসিনেতে ঘুম ধুলো অবিচল, কেউ রাস্তা পেরোবে বলে নাগরিক অজুহাতে  ক্লান্তি ঢেলেছে সোডা আর মাঝরাতে; চালচুলোহীন কিছু ফেরিওয়ালাদের কেজো দরদাম আর পথ ভুলে বেঁকে যাওয়া শহরের ট্রাম, মেয়েটা কান্না মিলছে ছাদের পাঁচিলে, ট্যাক্সির চিত্কার খাবে কাক-চিলে, বারান্দায় কত কথা জমা আছে শুকনো জামায় - যে ছেলেটা গিয়েছিল লাশকাটা ঘরে, বড় আরামে ঘুমায় |

বৃষ্টি যখন নামলো তখন

ছবি
আমার নয়ডার আটতলা অফিসের কাঁচের দেওয়ালজুড়ে বৃষ্টির ফোঁটা... কেজো অভ্যেসগুলো ছুঁড়ে ফেলে একছুটে ব্যালকনিতে , ভিজে যাওয়া জামাকাপড় নিয়ে আবার ফিরে এলাম ডেস্কে.... অফিসপাড়ায় বিকেল নাগাদ ঝেঁপে বৃষ্টি ঝরালো বিষন্ন রাজধানী কাঁচের জানালা হাত রাখে ডেস্কটপে সোঁদা জলছাপ এখানেও অভিমানী নিচের রাস্তা আবছায়া হয়ে ভেজে পান-সিগারেট গুমটিরা এলোমেলো অনাহুত ধুলো দিগ্বিদিকের খোঁজে চাদর জড়ালো চারিদিকে অগোছালো পথচারী কিছু অফিস ফেরত প্রাণী হঠাত ভিজলো ঝলসানো পৃথিবীতে ছুটির সন্ধ্যে মেঘে ঢাকা আসমানী চলকে পড়ছে চোখ ভেজা আরশীতে বাতানুকুল অফিস বারোমাসে মাটিতে ভাসছে চলমান কিছু গাড়ি ঘর-ছেড়ে যারা ভিড় কুড়োতে আসে বাসায় যাওয়াটা সত্যি কি দরকারী? একের পেছনে শুন্য অনেক হলো সংখ্যাগুলো বৃষ্টিতে ভিজবে না পকেটে রাখা খুচরো পাথরগুলো অভিমান তার কোনদিন বুঝবে না অচেনা ভাবনা জলছবি হয়ে যায় মোবাইল ফোন চেনা স্বরগুলো খোঁজে ক্লান্তিরা তাই কী-বোর্ডের কিনারায় বৃষ্টিতে ভিজে শান্তিতে চোখ বোজে

দাদুভাই

খড়গপুর রেলওয়ে বয়েজ স্কুলের অশীতিপর এক প্রাক্তন অঙ্কের শিক্ষক আজ মধ্যরাতে মারা গিয়েছেন...খবরটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়... কিন্তু ভোটের সময়ে কোটি কোটি প্রতিশ্রুতির বন্যা এবং চমক, চিটফান্ডকান্ডের তদন্ত, আসামে জঙ্গিহানা, বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে গণধর্ষণ ইত্যাদি ইত্যাদি হাজার গুরুত্বপূর্ণ খবরের ভিড়ে আবিষ্কার করলাম, যাদের আমি মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা করতে পারি, এমন মানুষ এমনিতেই বড় কম, আরো একজন কমে গেল... ঘটনাচক্রে সেই অশক্ত দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ আমার আত্মীয় এবং খুব প্রিয় একজন মানুষ ... আমার ছোটবেলার অনেক বড় বড় স্মৃতি এই মানুষটার সাথে জড়িয়ে আছে... আমার শিশুমনের মধ্যে প্রথম এই মানুষটা যুক্তি দিয়ে বিচার করার বোধ জাগিয়েছিলেন....ছোটবেলায় আমার হাজারো প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতেন...ছ'সাত বছরের ছোট্ট ছেলেকে তিনি বলতেন "তুমি যা বোঝো, যা জানো, তাই তোমার কাছে ভগবান"... পুজো করতে বসে উনি যখন 'ওঁ' উচ্চারণ করতেন, সেই শব্দের বিন্দু-বিসর্গ-চন্দ্রবিন্দু না বুঝেও আমার শরীরে একটা শিহরণ জাগত.... সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা তাঁর অসংখ্য লব্ধ-প্রতিষ্ঠিত ছাত্রদের কথা আমি অন্যের মুখে শুনেছি... কিন্তু ...