ছেঁড়া ইতিহাস - ৪
কিছু কিছু মানুষ থাকেন যারা আপনভোলা অথচ একটু বেশি একগুঁয়ে| বাকি জগতসংসারে কে কী ভাবলো, কে কী বললো তা নিয়ে তাঁদের কোনো মাথাব্যথা নেই| এর থেকেও ব্যাপারটা ভয়ংকর হয় যখন তাঁরা সাধারণ বুদ্ধিসুদ্ধিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে কিছু একটা করবেন বলে মনস্থির করে বসেন | বাকি লোকজন তাঁকে যতোই বোঝানোর চেষ্টা করুক না কেন, তিনি শুনবেন না| কিছুদিন পর হাল সবাই ছেড়ে দিয়ে মানুষটাকে পাগল-ছাগল আখ্যা দিয়ে বিদায় নেয়| মজার ব্যাপার হলো, সেই পাগলটা কিন্তু হাল ছাড়ে না|
সুইজারল্যান্ডের হেনরি ডুনান্ট সেই প্রকৃতির মানুষ| তিরিশ বছর বয়েস| বন্ধু বান্ধব বিশেষ নেই| নেহাত গিনিভা শহরের এক সভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম বলে তাঁকে কেউ ঘাঁটায় না| দেশের নাম করা কলেজ কেলভিন থেকে ড্রপ আউট| অবশ্য ড্রপ আউট বলা ভুল, আসল সত্যটা অনেকেই জানেন | পরীক্ষায় বারবার খারাপ গ্রেড পেতেন| তাই কলেজ থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে| এরপরে একটি ব্যাঙ্কে কিছুদিন কাজকর্ম করেছিলেন| বছর পাঁচেক এই ব্যাঙ্কে কাজ করার সুবাদে, তাঁকে ইউরোপের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হতো| হঠাত একদিন ব্যাঙ্কের চাকরিটি ছেড়ে তিনি সেই ভ্রমনকাহিনী নিয়ে একটা বই লিখে ফেললেন| সেই লেখাগুলো ছিল বেশ খাজা| তাই কোনো প্রকাশক জুটল না| পারিবারিক ব্যবসাতে তাঁরও একটা শেয়ার আছে| সেই শেয়ারের টাকায় নিজেই ছাপলেন বই| এই ঘটনা ১৮৫৯ সালের| সেই যুগে তো আর ফেসবুক ছিল না, যে খাজা লেখাগুলো আমার মতো ফেসবুকেই পোস্ট করে দেবেন! না, মশাই, আমি রূপকথা লিখছি না| তাই বলতে পারলাম না যে সেই বই হেনরিকে রাতারাতি বিখ্যাত বানিয়ে দিল| সেই খারাপ লেখা কেউ পড়েও দেখলো না| হেনরির অবশ্য তাতে কিছু এসে যায় না| তিনি ততদিনে পারিবারিক ব্যবসা বাড়ানোর কাজে মন দিয়েছেন| ফরাসী বিল্পব হয়ে গেছে| তৃতীয় নেপোলিয়ান বোনাপার্ট তখন ফ্রান্সকে সামরিক শক্তিতে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী বানিয়ে তুলেছেন| যুদ্ধের পর যুদ্ধ জয় করে চলেছেন তিনি| ইতালি জয় করে সেখানে নেপোলিয়ান নিজের উপনিবেশ বানিয়েছেন| ইতালিতে ব্যবসাবাণিজ্য করতে গেলে খুব অসুবিধা হচ্ছে | প্রচুর ট্যাক্স যেমন দিতে হচ্ছিল, তার সঙ্গে ছিল নেপোলিয়ানের সেনাদের যথেচ্ছ লুঠতরাজ| আমাদের হেনরি ডুনান্ট সেইসময় ব্যবসার কাজে ইতালিতেই ছিলেন| তিনি দেখলেন নেপোলিয়ানের জন্য ব্যবসা মার খাচ্ছে| অতএব তাঁর সহজ সমাধান, নেপোলিয়ানের সঙ্গে কথা বলতে হবে| কার ঘাড়ে কটা মাথা যে এই যুদ্ধের বাজারে নেপোলিয়ানের পেছনে লাগতে যাবে! তো, হেনরি একাই চললেন নেপোলিয়ানের সঙ্গে দেখা করতে| তৃতীয় নেপোলিয়ন তখন তাঁর সেনাবাহিনী নিয়ে লোম্বার্ডি নামে এক জায়গায় যুদ্ধে ব্যস্ত| হেনরিকে তাঁর বন্ধুরা অনেক বোঝালেন| কিন্তু আগেই বলেছি, সেসব বোঝার মতো বুদ্ধি সব মানুষের থাকে না|
১৮৫৯ সালের ২৪শে জুন, সলফেরিনো নামে একটি ছোট্ট শহরে পৌঁছলেন হেনরি| সেইদিনই সেই অখ্যাত শহরে ফ্রান্সের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার এক ব্যাপক যুদ্ধ হয়| এই যুদ্ধ ইউরোপের ইতিহাসে কুখ্যাত ‘সলফেরিনোর যুদ্ধ’ নামেই পরিচিত| পনের ঘন্টার যুদ্ধে অস্ট্রিয়ানরা নেপোলিয়ানের কাছে হার স্বীকার করে| কিন্তু এই পনের ঘন্টায় দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয় ব্যাপক| অন্তত চল্লিশ হাজার সেনা মারা যায় সেইদিন| আর লক্ষ লক্ষ আহত সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে যন্ত্রণায় চিত্কার করছিল| অস্ট্রিয়ান হোক বা ফরাসী, সারা শরীরে দগদগে ক্ষত নিয়ে যন্ত্রণায় মৃত্যুর অপেক্ষা করছিল| সেযুগে শুধু সেনাবাহিনীর সঙ্গে ছোট্ট একটি ডাক্তারের দল থাকতো| অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিম ফরাসীদের হাতে বন্দী| আর ফরাসী সেনাদের একটি মাত্র মেডিক্যাল টিম এত মানুষের জন্য কোনভাবেই উপযুক্ত নয়| সামান্য কিছু ফার্স্ট এইড দেওয়া ছাড়া তাদের কিছু করণীয় নেই | তাও সেই টিম অস্ট্রিয়ান সৈন্যদের চিকিত্সা করবে না| কাছাকাছি শুধু একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে| বড় হাসপাতালও নেই| যুদ্ধ ইতিহাসের পাতায় কিংবা টিভির পর্দায় রোম্যান্টিক লাগে| কিন্তু চোখের সামনে লক্ষ লক্ষ মানুষের আর্তচিত্কার মানুষকে রাতারাতি বদলে দিতে পারে| হেনরি ডুনান্টকেও দিলো| নিজের জগতে থাকা ইন্ট্রোভার্ট মানুষটি হঠাত করে অজানা অচেনা একটা শহরের লোকজনকে বোঝাতে শুরু করলেন, “এই আহত সৈন্যদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন”| সেই পাগলের কথায় কিছু একটা তো ছিল, যা হঠাত করে কোনো জাদুশক্তিতে সামনের মানুষগুলোকে একজোট করে করে ফেললো| নেপোলিয়ানের ভয় উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বের করে আনা হলো| দ্রুত তৈরী হলো ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল টিম| সেই দলে বাদ গেলো না মেয়েরা বা শিশুরাও| তারাও এসে যোগ দিল আহতদের সেবা করার কাজে| পড়ে থাকা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেঁচে থাকা সৈন্যদের স্ট্রেচারে করে তুলে নিয়ে আসা হলো| অস্ট্রিয়ান বা ফরাসী যে পক্ষেরই হোক না কেন, সবাই সেবা পাবে| “টুত্তি ফ্রাতেল্লি” অর্থাত “এরা সবাই আমাদের ভাই” ছিল স্লোগান| হেনরি নিজের টাকায় ওষুধ কেনার ব্যবস্থা করলেন| সহৃদয় আরো অনেকে চাঁদা দিলেন| রাতারাতি তাঁবু খাটিয়ে হাসপাতাল বানানো হলো| অপটু হাতে সাধারণ নাগরিকরা সেবা করতে লাগলেন আহতদের| এরই মধ্যে হেনরি দেখা করতে গেলেন বিজয়ী নেপোলিয়ান বোনাপার্তের সঙ্গে| না ব্যবসা নিয়ে একটাও কথা হলো না তাঁদের| হেনরি এক চতুর্থাংশ পৃথিবীর অধীশ্বরের দিকে তাকিয়ে বললেন “অস্ট্রিয়ান ডাক্তারদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই| তারা এই যুদ্ধে সৈনিক নয়, তারা ডাক্তার| যা কিছু ওষুধপত্র আছে দাও| আর, তোমার দলে যত ডাক্তার আছে তাদেরকেও চাই| জাতি-দল নির্বিশেষে সব আহত সৈন্যদের চিকিত্সা করা চলছে”| তৃতীয় নেপোলিয়ান সেদিন হেনরিকে খালি হাতে ফেরান নি| না তার মাথাটাও কেটে নেন নি| বরং সেই মহৎ কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন| মানবিকতার সামনে সম্রাটকেও নিচু হতে হয় |
১৮৬২ সালে গিনিভায় ফিরে হেনরি ডুনান্ট আরেকটি বই লেখেন “মেমোরিস অফ সলফেরিনো”| চোখের সামনে ঘটে যাওয়া যুদ্ধ, আহত মানুষের আর্তনাদ, চিকিত্সার অভাব এবং স্বতস্ফুর্ত ভাবে সেই আহতদের সেবায় এগিয়ে আসা এক শহর মানুষ – সবকিছুর বিবরণ দিলেন তিনি| মানবিকতার খাতিরে যুদ্ধের মধ্যে কিছু নিয়ম মেনে চলার আবেদনও করলেন তিনি| যেমন, কোনো মেডিক্যাল টিমের ওপরে আক্রমণ করা যাবে না, যেকোনো দেশের মেডিক্যাল টিম যুদ্ধে আহত প্রতিপক্ষের সৈনিকদের বাঁচাতে বাধ্য থাকবে, হাসপাতালের ওপর কোনো আক্রমণ করা যাবে না এই সব| তিনি এবারও নিজের টাকায় ছাপালেন ১৫০০ কপি বই, এবং ইউরোপের বড় বড় সেনানায়ক এবং রাজনৈতিক নেতাদের বিনামূল্যে বিতরণ করলেন| লোকটার মাথাটাই খারাপ| নয় তো যুদ্ধের মধ্যে কেউ এথিক্স খোঁজে? যুদ্ধে আবার মানবিকতার নিয়ম ? লোকে টিটকিরি দিতো হেনরিকে| কিন্তু গোটা ইউরোপে কি মানবদরদী মানুষ একজনও নেই! এমন অবক্ষয় এ পৃথিবীতে তখনো আসেনি| তাঁর দেশেরই গুস্তাভ ময়্নিয়ের নাম এক প্রভাবশালী নেতা এগিয়ে আসেন| সুইস আর্মি জেনারেল হেনরি ডাফ্যুরও সমর্থন করেন| আর ছিলেন গোটা ইউরোপের অসংখ্য চিকিত্সক| ১৮৬৩ সালে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি তৈরী করে সুইস গভর্নমেন্ট| অবশ্যই হেনরি ডুনান্ট ছিলেন সেই কমিটিতে| ১৭ই মার্চ প্রথম সেই কমিটির বৈঠক বসে| জন্ম হয় “ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস সোসাইটির”|
নিজের চেষ্টায় সুইস গভর্নমেন্টকে রাজি করিয়ে 14 টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে বৈঠক করেন হেনরি| উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে যুদ্ধে আহত সৈনিকদের চিকিত্সা করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা| নানা কারণে সেই আলোচনা ভেস্তে যায়| অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরের বছর ১২ টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আবার আলোচনায় নিয়ে আসেন হেনরি| নিজের খরচে তাঁদের সবার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি| এবার সুইস পার্লামেন্টেই হয় সেই সভা| এবং অবশেষে সেই ১২ টি দেশ সম্মত হয় যে তারা যুদ্ধের সময় আহত সৈনিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করবেন না| বিশেষত: আহত সৈনিকদের সেবায় কোনো প্রতিকূলতা এবং পক্ষপাতিত্ব করা হবে না| চিকিত্সক এবং চিকিত্সার কাজে যুক্ত সমস্ত মানুষের সুরক্ষা দেবার কথাও বলা হয়| এইসব নিয়ে সাক্ষরিত হয় প্রথম গিনিভা চুক্তি| ১৮৬৪ সালের ২২ শে আগস্ট| পৃথিবীর কাছে হেনরি ডুনান্ট হয়ে ওঠেন মানবতার আর একটা মুখ|
যদিও হেনরি ডুনান্ট-এর শেষ জীবনটা খুবই কষ্টে কেটেছিলো| স্বাভাবিক কারণেই তিনি নিজের ব্যবসাতে মন দিতে পারেন নি বহু বছর| অথচ মানবিকতার জয় আনার জন্য জলের মতো টাকা খরচ করে গেছেন| গিনিভা চুক্তি সাক্ষরিত হবার কিছুদিন পরেই বিশাল অঙ্কের দেনার দায়ে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়| বাকি সদস্যদের সঙ্গে না ঝামেলায় জড়িয়ে পরেছিলেন বলে তাঁকে রেড ক্রস সোসাইটির সদস্যপদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল| নিজের প্রতিপত্ত ও ক্ষমতা ব্যবহার করে তাঁরই একসময়ের সহকর্মী গুস্তাভ ময়্নিয়ের তাঁকে রীতিমতো অপমানিত করেছিলেন| বিভিন্ন সংস্থা থেকে তাঁরই নামে আসা পুরস্কারমূল্য থেকে তাঁকে একটা পয়সাও দেওয়া হয়নি| পুরনো ‘বন্ধু’ ফরাসী সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ান তাঁর অর্ধেক ঋণের বোঝা নিজে পরিশোধ করেছিলেন| রাগে দুঃখে হেনরি গিনিভা ছেড়ে চলে যান জুরিখে| বাকি জীবনে আর ফেরেন নি নিজের জন্মভিটেতে| এর পরে ধীরে ধীরে তিনি বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যান| তিনি কারুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না| অভিমানে
স্বেচ্ছানির্বাসন নিয়েছিলেন তিনি | ১৯০১ সালে প্রথমবার বিশ্বশান্তি পুরস্কার ঘোষণা করেন নরওয়ে সরকার| বিশ্বের প্রথম বিশ্বশান্তি পুরস্কার প্রাপক হিসেবে ঘোষণা করা হয় হেনরি ডুনান্ট-এর নাম| তিরিশ বছর পর খবরের কাগজের প্রথম পাতায় আবার খবর হলেন হেনরি ডুনান্ট| নোবেল পুরস্কার টাকা দিয়ে এই মানুষটি অবশেষে ঋণমুক্ত হন| এখনো তাঁর জন্মদিন ৮ই মে, সারা বিশ্বে 'রেড ক্রস দিবস' হিসেবে পালিত হয়|
গিনিভা চুক্তি আজ সারা বিশ্বে খুব সাধারণ একটা শব্দ| এর পরে আরো অনেকগুলি গিনিভা সম্মেলন হয়েছে দেড়শ বছর ধরে| এখনো গিনিভা সম্মেলনে এসে রাষ্ট্রনায়করা হেনরি ডুনান্টকে ‘ভোট অফ থ্যান্কস’ জানান | ধীরে ধীরে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশ এই কনভেনশন মেনে নিয়েছে| আজও গিনিভা কনভেনসন অনুযায়ী চিকিত্সকরা যুদ্ধ ক্ষেত্রে সুরক্ষিত| তবে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে? ওয়েল, নো কমেন্ট| পৃথিবীর সব কনভেনশন কিছু কিছু ব্যাপারে আজও মানবিকতার ওপরেই বিশ্বাস রাখে| প্রসঙ্গত, ১৯১০ সালে জুরিখের একটা অনামী নার্সিংহোমে মারা যাবার আগে হেনরি ডুনান্ট-এর শেষ কথা ছিল "where has humanity gone?"
-সৌম্য মাইতি
স্বেচ্ছানির্বাসন নিয়েছিলেন তিনি | ১৯০১ সালে প্রথমবার বিশ্বশান্তি পুরস্কার ঘোষণা করেন নরওয়ে সরকার| বিশ্বের প্রথম বিশ্বশান্তি পুরস্কার প্রাপক হিসেবে ঘোষণা করা হয় হেনরি ডুনান্ট-এর নাম| তিরিশ বছর পর খবরের কাগজের প্রথম পাতায় আবার খবর হলেন হেনরি ডুনান্ট| নোবেল পুরস্কার টাকা দিয়ে এই মানুষটি অবশেষে ঋণমুক্ত হন| এখনো তাঁর জন্মদিন ৮ই মে, সারা বিশ্বে 'রেড ক্রস দিবস' হিসেবে পালিত হয়|
গিনিভা চুক্তি আজ সারা বিশ্বে খুব সাধারণ একটা শব্দ| এর পরে আরো অনেকগুলি গিনিভা সম্মেলন হয়েছে দেড়শ বছর ধরে| এখনো গিনিভা সম্মেলনে এসে রাষ্ট্রনায়করা হেনরি ডুনান্টকে ‘ভোট অফ থ্যান্কস’ জানান | ধীরে ধীরে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশ এই কনভেনশন মেনে নিয়েছে| আজও গিনিভা কনভেনসন অনুযায়ী চিকিত্সকরা যুদ্ধ ক্ষেত্রে সুরক্ষিত| তবে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে? ওয়েল, নো কমেন্ট| পৃথিবীর সব কনভেনশন কিছু কিছু ব্যাপারে আজও মানবিকতার ওপরেই বিশ্বাস রাখে| প্রসঙ্গত, ১৯১০ সালে জুরিখের একটা অনামী নার্সিংহোমে মারা যাবার আগে হেনরি ডুনান্ট-এর শেষ কথা ছিল "where has humanity gone?"
-সৌম্য মাইতি
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Kichhu rong ekhono alo khujchhe ... tumio nijer ichchemoto tader niye diye jete paro tulir elomelo koyekta taan ...