পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গল্প : ছেঁড়া ক্যাম্পাস

ছবি
 

বহুযুগের ওপার থেকে

ছবি
আমার লেখা একেবারে প্রথম কবিতাগুলোর মধ্যে একটা... যার জন্যে লিখেছিলাম সে চলে গেছে কিন্তু কবিতাটা রয়ে গেছে... আমার নিজের লেখা একটা খুব প্রিয় কবিতা... কবিতার সাথে মিশে থাকা অনুভূতিটা আজ একইরকম স্বপ্নের মত লাগে... খুব চেনা একটা অসহ্য ভালোলাগার অনুভূতি ...

নামহীন গান

আমি পারছিনা খুঁজে নিতে নিজেকে আয়নাতে  মাঝরাতে ঘুমহীন সিগারেট ধরা আছে কার হাতে? শহরের ঠিকানায় হারিয়ে ফেলেছি আমি ঘরবাড়ি  পাহাড়ি মেঘের সাথে কখন মিলিয়ে গেছে রেলগাড়ি  এই কুয়াশায় জমা শীতে  উষ্ণতা খুঁজে নিতে  হয়তো অতর্কিতে  হারিয়ে ফেলি, আমি, নিজেকেই... আমি হাঁটছি না একা একা সন্ধ্যের রাস্তাতে  কার তাতে যায় আসে ভালবাসা হাতড়াতে ফেসবুকে থাকে-থাকে সাজানো রয়েছে সব বন্ধুরা ডেকে যায় চেনা স্বর, চেনা চেনা সুরে বাঁধা তানপুরা এই মানুষের ভিড় ঠেলে জলে ভেজা চোখ মেলে সময় পালিয়ে গেলে আবার হারিয়ে ফেলি, আমি, নিজেকেই...

ইতিহাসের পাতা থেকে

ছবি
খড়গপুর ----------- সৌম্য মাইতি  কাশীদাসী মহাভারতের কথা | পঞ্চপান্ডব বনবাসে চলেছেন | গভীর জঙ্গল | মাতা কুন্তী বড় ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিতে চাইলেন | এদিকে ঘন জঙ্গলে থাকে নরখাদক রাক্ষস. রাক্ষসদের রাজা  হিড়িম্ব আর তার বোন হিড়িম্বা | সে ভয়ে পাণ্ডবরা তো আর দমে যাবার পাত্র নয়! কাজেই মহাবলী ভীম বললেন "আমি আছি তো! কোনো ভয় নেই" | পান্ডবরা জঙ্গলেই বিশ্রাম নিতে বসলেন , আর ভীম পাহারা দিতে লাগলেন | এদিকে নরখাদক হিড়িম্ব তো আল্হাদে আটখানা | সে চললো ভুরিভোজ সারতে | ভীম তো আর এতও সহজে তা হতে দেবেন না!তাই লেগে গেলো ভীম আর হিড়িম্বর যুদ্ধ | ভীম হিড়িম্বকে বধ করে দেহ রেখে এলেন খড়গেশ্বর শিবের মন্দিরের সামনে | তারপর? ভীম ও হিড়িম্বার প্রেম এবং বিয়ে | সেই প্রেমকাহিনী আমরা মোটামুটি সবাই জানি। তাদের সেই গান্ধর্বমতে বিয়েটাও হয়েছিল খড়গেশ্বর মন্দিরে | পঞ্চপান্ডব বেশকিছুদিন ছিলেন এই মন্দিরের পাশে | জঙ্গলের মধ্যে একটা পুরনো মন্দির | সেই মন্দিরকে কেন্দ্র করে তারপর গড়ে উঠলো ছোট্ট গ্রাম | গ্রামের নাম ? খড়গপুর !!!!! আই আই টি ক্যাম্পস থেকে ৫ কিমি উত্তরে ইন্দা বাজার রয়েছে | ...

ইতিহাস

ছবি
আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০তম জন্মদিন ...  সেই ইতিহাস  ছাপা অক্ষরের তলায় চাপা থাকেনি কোনদিন, কোনো ইট-কাঠ-পাথরের শহরে  সে ইতিহাস হারিয়ে যায়নি| একটা দেশলাই কাঠি কত আর প্রদীপ জ্বালাবে? কেন্তু সে ইতিহাস যে দাবানল হয়ে ওঠে শিরায় শিরায় ! সে ইতিহাস পুড়িয়ে দিক ক্ষয়ে যাওয়া এ সমাজ, এ সভ্যতা... আমরা হাততালি দেবো, শোকসভা করবো, বই লিখবো, বই পড়ব, ফেসবুকে-ইমেলে পাখা মেলে দিকে দিকে ছড়িয়ে দেবো রক্ত ফোটানো সে ইতিহাসের আগুন... সে ইতিহাসকে আমরা ঈশ্বর বানিয়েছি, সে ইতিহাসের ছবি সামনে রেখে মাথা ঠুকেছি.... ইতিহাস তবু ইতিহাস, নীরব থাকা তার কাজ, আমরাও নীরব রয়েছি সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির অপেক্ষায়, তাই বুঝি আর ইতিহাস বানাতে পারিনি, সাদামাটা আগামী দিনগুলো অতীতের পাতায় মাথা নীচু করে ঢুকে পড়ে, কেউ ইতিহাস  হতে   পারে না | আমরা সেই ইতিহাসের সামনে হাত জোড় করে বলি "লহো প্রনাম, স্বামী বিবেকানন্দ" সেই ইতিহাস চোখ মোছে এই পরিণতির দিকে তাকিয়ে..

বাঁশি

ছবি
স্বপ্ন ধরতে হবে বলে  ছুটেই চলেছি উদ্দেশ্যহীন, মাঝেমধ্যে তার সাথে দেখা হয় হঠাত্ হঠাত্  কোনদিন। কখনো অফিসপাড়ায়,  ব্যস্ত এয়ারপোর্টে অথবা ভিড়ে ঠাসা  শপিং মলের ফুড-কোর্টে, কিছুটা সময় একসাথে মানুষের ভিড় উপেক্ষা করে না বলা কথাগুলো না বলাই রেখে মনের ভিতরে , তার সাথে দেখা হয় - স্বল্পচেনা কেউ একজন। ছুটে চলা থামাতে পারবনা, তাই আমরা ছুটছিই অকারণ  কতকিছুই তো বলার ছিল! তবু ভয় আর সংশয়, তাই নিজেদেরই নিজেদের থেকে পালিয়ে বেড়াতে হয়। চারিদিকে মানুষের দল ভালবাসছে যা ইচ্ছে তাই, আমরাই শুধু সেসব থেকে দুরে ভালো লাগা খুঁজে বেড়াই। ভিড় মানে মানুষের সাথে মানুষের অকারণ মেলামেশা, ভালবাসা মুখ ঢেকে রাখে, হাসি-গান সব স্রোতে ভাসা। সেই সব টুকরো টুকরো হাসি গান থেকে দুরে, আমরা বেঁচে নিই আমাদের সত্যিটুকু আমাদের হৃদয়পুরে; একটু দেখা, একটু ছুঁয়ে দেখা, আঁকড়ে রাখার একটা ভাবনাকে গায়ে জড়িয়ে আবার ছুটে চলা একে একে। শেষবার যেদিন দেখা হয়েছিল ক্লান্ত অফিস ফেরত রাস্তায়, মনে আছে বলেছিলাম "এভাবে...

The Times They Are A-Changin

ছবি
গান যে কেন সরাসরি বুকে এসে ধাক্কা মারে! অনুবাদ করার চেষ্টা করেছি, সাহস বটে!!! সাহসিকতার জন্য পুরস্কার চাই.....   এসো বন্ধুরা এসো কোথায় ঘর তোমার জলে ডুবছে শহর দেখো শূন্যে পারাবার ভয়ে মরার আগে উপায় শেখো বাঁচার সময় আছে হাতে এখন তোমার, সময়টা নিস্প্রাণ নয়তো সময়েই খান খান কারণ সময় গাইছে দিনবদলের গান এসো শিল্পী এবং কবি ধর তুলি কিংবা কলম নিজের হাতে পুরোটা চোখ খোলো দেখো নতুন সময় হাঁটছে সাথে তোমরা বড্ড দ্রুত হাঁটো ঘুরছে চাকা এখনো রাজপথে পিছনে তাকিও না পুরনো অভ্যেস হাতড়াতে যারা হেরেছলো একদিন করছে বিজয়ের অভিযান কারণ সময় গাইছে দিনবদলের গান এসো মন্ত্রী কিংবা নেতা ভাঙ্গনের গান শোনো অনেক ভেঙেছো দেশটা শোষণের শেষ দিনটা গোনো যারা অনেক খেয়েছে মার তারা ঘুরে দাঁড়াবে এবার ঘরে বাইরে যুদ্ধ হোক হোক রক্তে রক্তে স্নান তোমাদের মূর্তি যাচ্ছে ভেঙে পড়ছে দড়িতে টান কারণ সময় গাইছে দিনবদলের গান এসো অভিভাবক যতো তরুনের চোখেই রাখো চোখ চোখ রাঙালেও আজ শুধু অবাধ্যতাই হোক যেটা বুঝতে পারো না না বোলো না অনর্থক তোমাদের ফুরিয়ে যাওয়া পথে ডাকছে অনেক পিছুটান নতুনের হাতটা এবার ধ...

কিছু একটা পচেছে

ছবি
"ভোরের বাতাসে কাঁপে ধর্ষিতা মেয়েটির বুক  স্লোগানের ভিড়ে আমি লুকিয়েছি মুখ" ধর্ষণ আর খুনের খবর পড়তে পড়তে বড় হয়েছি আমরা ... একটা গোটা জেনারশন শুধু খবরের কাগজের পাতায় হিংসার ছবি দেখে গেল, কান্নার ছবি দেখে গেল .... আজও   দেখছে।  ২৯শে   ডিসেম্বর ২০১২ সালে দামিনী নাম একটি ধর্ষিতা  মেয়ের মৃত্যু  নিয়ে উত্তাল হলো দেশ .. সত্যি বলছি ধর্ষণের থেকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করাটাই আমার কাছে নতুন লাগলো ...  এক এক সময়ে নিজেরই ঘেন্না লাগে । ধর্ষক আর খুনিদের মুখগুলো যে আমার-ই মুখের মত  , আমারি খুব পরিচিত লোকেদের মুখেদের মত। এই মুখগুলো দিয়েই আমাদের সমাজ ... --- কিছু একটা পচেছে  তোমার মধ্যে, তোমার শরীরে রক্তে-মাংসে  কিছু একটা পচেছে । খুব অপরিহার্য কিছু একটা প্রতিদিন ক্ষয়ে যাচ্ছে, বোধ হয় আর বেশিদিন নেই, তুমি শুনতে পাচ্ছ শরীর পচে মরে যাবার শব্দ? তারপর তোমার পচা-গলা  শরীরটাকে, তোমার এই ভালবাসার শরীরটাকে ফেলে আসা হবে  অন্ধকার গলির আস্তাকুঁড়ের মধ্যে , শকুনের দোল ছিঁড়ে খাবে তোমার দেহকে । ...