পোস্টগুলি

2011 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কুঁচো-কাঁচা দুঃখকথা......

ছবি
"সুখ নেইকো মনে / নাকছাবিটা হারিয়ে গেছে হলুদ বনে বনে" (১) একলা ছলাত্ছল  জল থৈ থৈ কাজল চোখে বৃষ্টি অনর্গল  (২) চোখ দেখেছে চোখ  তোর চোখে সেই মেঘ জমেছে বৃষ্টি আমার হোক  (৩) একলা এখন বাঁশি  কান্নাকথা ভিজিয়ে দিলো হারিয়ে যাওয়া হাসি  (৪) এলেবেলে সুর  ভুলতে চাইছি দুঃখ ভোলার বৃষ্টি হৃদয়পুর  (৫) ঘরের মধ্যে ঘর ঘর-ছাড়া এক গল্প তবু খুঁজছে তেপান্তর  (৬) এখন সবাই একা  একলা থাকার এই আকালে হঠাত্ ফিরে দেখা  (৭) শীতের দিনের ভোর  পিঠেপুলির গন্ধ-উঠোন থাকুক শুধু তোর   (৮) উঠছে গড়ে বেড়া  একটা গীটার ধুলোয় মোড়া  তারগুলো তার ছেঁড়া  (৯) যাবেই যদি যাক ভালোলাগার কথাগুলো দুঃখ হয়েই থাক (১০) সেসব পুড়িয়ে দিস  ভাঙা-ডানার একটা ঘুঘু  ডাকবে অহর্নিশ  (১১) বেকার কথার ভিড়  কথার ঘায়ে রূপকথাতে রোজ ধরেছে চিড় (১২) সেসব কথা কে আর বলে বল? লেপমুড়ি শীত একলা আমি হৃদয় ছলাত্ছল  (১৩) নদীর ওপর সেতু ...

প্রশ্ন

ছবি
বুবুনদিদির  জন্য লেখা ......... এত এত ইচ্ছেরা  আমাকে প্রতিদিন জড়িয়ে ধরে যে জমিয়ে রাখা সমস্ত স্বপ্নের ফোঁটাগুলো কেবল একটা জীবনের জন্য যথেষ্ট নয়, যথেষ্ট নয় আমার বেঁচে থাকা, বেঁচে থাকার স্বপ্ন...  এখন এত কান্না কোথায় ঢাকবে জীবন? স্বপ্নদের খুন করেছিলো যারা সেইসব ঘাতকের দল শাস্তির ভয়ে লুকিয়েছে এদিকে ওদিকে | সেইসব স্বপ্নের সাজি  তোমার আঁচলে ছড়িয়ে দিলাম উজাড় করে , শেষে তুমিও? আজ তুমি দেখ আমি হেঁটে যাই তোমারই আঙিনা ধরে, রোজ রোজ আমার স্বপ্নরা তবু মরে যায়.... স্বপ্ন, সেই সব প্রতিটা স্বপ্ন  যারা এক একটা   জীবনের মতো দামি ; সেইসব  এক একটা স্বপ্নকে বাঁচাতে কতবার কত কোটি নরকের দরজা খুলেছি আমি, কতবার মাথা নিচু করে পরাজয় স্বীকার করেছি , তবু কেন? কেন তুমি গলা টিপে খুন করো আমার স্বপ্নদের? আমি  জানি স্বপ্নের লাশ পিঠে নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে জীবন ফুরিয়ে আসে, আশা এটুকুই  যদি  ব্যবহারযোগ্য কিছু ভালোবাসাটাসা পাওয়া যায় আরো কিছু কিছু স্বপ্নের বিনিময়ে ; জীবন তো বড় ছোট, তোমার নিষ্ঠুরতার কাছে সে নেহাতই নগন্য, এতো...

দেশান্তর

ছবি
এই কবিতাটা আশিকুর রহমান ভাই-এর জন্য| এই মার্কিন মুলুকে পা দিয়ে এয়ার-পোর্ট এ যে মানুষটার সঙ্গে প্রথম আলাপ হল, তার সাথে বাংলাতে কথা বলতে পারবো ভাবিনি| আমাকে রিসিভ করতে এসেছিলো আমার-ই  ল্যাব এর যে সহ-গবেষক, সেই বাংলাদেশী মানুষটার জন্য পনেরো হাজার মাইল দুরেও সবসময় মাটির গন্ধ পাই.... অনেকদিন হয়ে গেল,  কপালে  খুব চেনা একটা হাতের স্পর্শ পাইনি | হাতে পায়েসের বাটি ধরিয়ে  খুব প্রিয় একটা গলার স্বর বলেনি, "নাও, এটা গিলে উদ্ধার করো আমাকে"| মাটির গন্ধে মেলা দেখা হয় না বহুদিন| ছোটবোনের রাখী আমার হাতে বাঁধা থাকে না আর,  যমের দুয়ারে কাঁটা পড়ে, আর আমি পথ হাঁটতে হাঁটতে আজ বহুদূরে ... টিফিনের পয়সা জমিয়ে ভাইয়ের জন্য লাটাই কিনে গর্বিত মুখে বাড়ি ফিরেছিলাম সেই কবে, মনেই পড়েনা ভাইয়ের সেই হাসিটুকু  | সেই যে মানুষটা আমার জন্য কলেজ শেষে  দাঁড়িয়ে থাকতো  একসাথে  একটু ঘুরে ঘুরে  বাড়ি ফিরবে বলে, সেও অপেক্ষা করেনি বহুদিন| অথচ  আজো পিঠে-পুলির গন্ধে  ওদের  আঙিনা ভরে ওঠে, আজ-ও মেলা বসে, ধুলো পায়ে হাঁটে ওরা সব, ...

পাখি

ছবি
পাখি ,তুই  মনখারাপের  রাতে  খুচরো  চোখের  জল  পেরিয়ে  নীরব  অপেক্ষাতে  আমার  জন্য  একলা  বসে   বৃষ্টি  নিয়ে  খেলিস... তোর  কিসের  এত্ত  নালিশ ? মেঘ -পাহাড়ি  শহর  আমার  কাঁদে  আর  লুকিয়ে  রাখা  নোনতা-জলে  ভিজে  তোর-ই  জন্য  একলা  হাঁটি  ছাদে ....

দু:খ-বিলাসী

ছবি
ওরা সব আগের মতই আছে, সেই সব নিবিড় বিকেলগুলো অবিরত যারা বৃষ্টি ভিজতো কলেজ-ফিরতি শহরের পথে-ঘাটে অথবা সেই সব অগোছালো দিন এলোমেলো পথ হেঁটে ক্লান্ত SMS ছড়িয়ে ঘুমোতে যেত, তারা নিজেদের মতো ভালই আছে | সেই যে কাঁধে হাত বন্ধুর সাথে ট্রাম-লাইনের ওপরে বসে সুখটান দিত অলস গোপন কথা, এখন তাদের কথা খুব মনে হয়... আমি আজ ফেলে আসা কথাগুলো ঝেড়ে-মুছে রাখতে চাইছি, কচি-কাঁচা দু:খদের পাশে শুয়িয়ে সেইসব রূপকথার গল্প শোনাবো বলে; গল্পের রাজকন্যা সোনার কাঠি ছুঁয়ে ধরা গলায় বললো, আমি  একটু একলা হতে চাই, চারিদিকে মানুষের  স্তুপ থেকে একান্তে কাঁদার জন্য আমি একটু একলা হতে চাই

পরবাসে

ছবি
গভীর দু:খে একাকিত্বকে  জড়িয়ে বসে থাকি | বিশাল এই দেশ |  বিপদে কাঁধে হাত রাখার মানুষগুলোকে পনেরো হাজার মাইল দুরে ফেলে এসেছি ! এদেশে আমার ভীষণ প্রয়োজনে  যে লোকগুলো আমার পাশে এসে দাঁড়ালো তারা কেউ জর্ডন, কেউ আরব, কেউ মেক্সিকা, কেউ পাকিস্তান, কেউ বাংলাদেশ, কেউ চীন, কেউ ইন্দোনেশিয়া...এরম কত কত দেশ থেকে এসেছে.... তাদের সাথে আমার পরিচয় মাত্র কয়েকদিনের.. তবু তারাই আমার কাছে কোনো কিছুর প্রত্যাশা না করেই হাতগুলো বাড়িয়ে দিলো... এই অপ্রত্যশিত বন্ধুত্বের কোনো সীমান্ত নেই, যেমন সীমান্ত থাকে না আমাদের চোখের জলের.... হয়তো বেরঙিন দিনকাল আমাদের মতো কাঁদে, হয়তো রংগুলো এদিকে-ওদিকে এবরো-খেবড়ো, আমাদের জীবনের মতো | পরবাস বড় নিষ্ঠুর হতে জানে, আমরা খুজেছি আশ্রয়, ফেলে আসা সুর-পিছুটান চেনা চেনা ভালোলাগা কখনো সময়, কখনো মানুষকে অনেক পেছনে ফেলে যে যার কক্ষপথে ঘোরে| আমরা অনেক কষ্টে মনের ভাব প্রকাশ করি- ভালোবাসা ভাষা হতে শেখে, তবু সারা পৃথিবীর সব কাঁটাতার পেরিয়ে একটুকরো চোখের জল কেবল মানুষ খুঁজে ফেরে ......

ঘেন্না এবং ...

ছবি
ভূমিকাতে একজনকে একটাই কথা বলার ছিল,  "please, spare me" এত ভাবিস না, কিছুই হয়নি ঝরা-পাতাদের মত চোখ  কাঁধে হাতটুকু নাই বা রাখলি  এসব ফালতু নাটক সব ঠিক আছে কিছুই থামেনি  হঠাত্   আমার কিছুই হয়নি এসব এখন জাস্ট জলভাত  তুই কুকুর-বেড়াল পোষ  নিজেকে সাজানো ভোরে নাইবা খুঁজলি কারণ মিথ্যে আমাকে তুচ্ছ করে  সব ঠিক আছে  কিসের ফালতু চাপ? আমার কিছুই হয়নি  এতো শুধু একটা ব্রেক আপ সব আলো নিভে এলো ঘরের ভেতর থেকে. বাইরে নিবিড় রাত তোকে হাতড়িয়ে ডাকে  সব ঠিক আছে ভাবছিস অভিনয়? আমার কিছুই হয়নি নাহয় একটা ভাঙ্গা হৃদয়  ঠিক-বেঠিক ভাবা  দিকভুল ভালবাসাদের দায়, ভালোথাকাদের তাতে  আর কি-ই বা আসে যায়? সবকিছু ঠিক আছে  জীবনে যাকিছু দামী ছিল তোর চেয়ে  আমার কিছুই হয়নি  তুই তো কেবল আর একটা  মেয়ে  ঘুমহীন রাত উঠে বসে  জল খেল, কে যে পিপাসিত! সেই লোকটাকে জড়িয়ে  তুই ঘুমোতে পারবি তো? পরিশেষে,  "It's alright, it's another night I'm learning to st...

উড়ান

ছবি
  দেশ ছেড়েছি তাই মাটির উপর আকাশ  দেশ এখানে গৌণ শুধু ভাসছে বারোবাস এখান থেকে চলা  এখান থেকেই উড়ান এখান থেকেই ডোবা অলীক ভাসমান দেশ এখানে বোবা আমি অন্য দেশে ঘর ছেড়েছি তাই ঘরের দেওয়াল ঘেঁষে এখন ভুলেই গেছি ঝিনুক খোঁজার দিন স্বপ্ন ধরার আগেই আমি দিগন্তে বিলীন 

কথা-রাখা কথা

ছবি
চিল্কা  বহুদিন পর আজ আবার.... কয়েকমাস আগের ঘটনা... ছবিগুলো আঁকা ছিল.. ল্যাদ কাটিয়ে লেখা হচ্ছিলো না ... আজ লেখাটা শেষ করলাম.. আমরা কয়েকজন দোল-পূর্নিমার আগেরদিন রাত্রে হঠাৎ বেরিয়ে পড়েছিলাম .. গন্তব্য চিল্কা... জাস্ট ১ ঘন্টার মধ্যে যাবো ঠিক করে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে এলাম আমরা   .... অনেক গল্প আছে আমাদের সেই পালিয়ে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া ভ্রমনকাহিনীর | আইআইটি র সিকিউরিটি কে ফাঁকি দিয়ে গভীর রাতে সাইকেলে করে পালানো, হাওয়াবিহীন সাইকেল চেপে জ্যোত্স্নার আলোয়ে ভিজে স্টেশন পৌঁছনো,   ট্রেন মিস করা, পরের ট্রেনে ফাঁকা কামরায় শুয়ে শুয়ে যাওয়া, পুরি স্টেশনে টিকিট-চেকারের হাতে ধরা পড়ে ফাইন দেওয়া, একজন ভয়াবহ লোকের অটোরিক্সায় চেপে সাতপাড়া যাওয়া, সেখানে এটিএম না থাকার জন্য এবং আমাদের কারুরু কাছে টাকা-পয়সা যথেষ্ট না থাকার জন্য মেপে মেপে বেঁচে থাকা, প্রায় সারা রাত চিল্কার মাঝে জেটির ওপর বসে আড্ডা মারা, নৌকোয় করে ঘুরতে যাওয়া এবং রাস্তা হারানো, পরদিন চিল্কার জলে নেমে দাপাদাপি করা বিষাক্ত মাছের ভয় উপেক্ষা করে, ফিরে আসার সময় বাস কন্ডাক্টরএর সাথে ঝামেলা, পুরি একস্প্রেসে ...